ইমন যে মেয়েকে পছন্দ করতেন, সেই মেয়ের সঙ্গে স্কুলছাত্র মোহাইমিনুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এটা সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ইমন। তাই মোহাইমিনুলকে নাগরপুরে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করেন। শুক্রবার টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইমন এমন কথাই জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় ইমনকে (১৮) তাঁর বোনের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, নিহত মোহাইমিনুলের মোবাইল ও সিম কার্ডও জব্দ করা হয়।
১৬ জুলাই হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাইমিনুল ইসলাম টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালতপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ১৭ জুলাই শফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ইমন বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছেন। তিনি নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের পাছ ইরতা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে। তবে টাঙ্গাইল শহরে বোনের বাসায় ছোটবেলা থেকে বসবাস করে আসছিলেন। ইমন পেশায় ট্রাকচালকের সহকারী।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মোহাইমিনুলের সঙ্গে গ্রেপ্তার ইমনের বোনের বাসার পাশের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মেয়েকে ইমনও পছন্দ করতেন। কিন্তু মোহাইমিনুলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তা সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ইমন। ১৬ জুলাই ইমন মোহাইমিনুলকে মোবাইলে জানান, নাগরপুরে ওই মেয়ে তার এক আত্মীয় বাড়িতে আসবে। মোহাইমিনুল সেখানে গেলে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে পারবে।
ওসি বলেন, ইমনের কথা বিশ্বাস করে মোহাইমিনুল স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নাগরপুরে যায়। দুপুরে সেখানে যাওয়ার পর ইমন নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এদিকে রাত আটটা বেজে গেলে মোহাইমিনুল টাঙ্গাইল ফিরে যাওয়ার জন্য ইমনকে তাগাদা দিতে থাকে। ইমন তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী মোহাইমিনুলকে ধানখেতের নিয়ে গিয়ে ছুরি মেরে হত্যা করেন।