সর্বশেষ
Sat. Apr 27th, 2024
হামলায় আহত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা (৪৮) ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমের (৪২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তদের হাতুড়িপেটায় আনসার উদ্দিন মোল্লার দুই পা থেঁতলে গেছে। শরীরে জখম হয়েছে। তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমের মাথার চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপর ফেলে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়েছে। এতে তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি ফেটে গেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বন্দরের অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন স্বামী-স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। আনসার উদ্দিন মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত মো. আনছার উদ্দিন মোল্লার ভাষ্য, ‘লতাচাপলী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে আমরা আলীপুর বন্দরের বাসায় ফিরছিলাম। আলীপুর বন্দরে আসার পরই আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী চক্রটি আগে থেকেই আমাকে মারার জন্য অপেক্ষা করছিল। লতাচাপলী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নজরুল ফকিরের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। নজরুল ফকিরের সঙ্গে একই এলাকার আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজুসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী এই হামলায় জড়িত।’

কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মুমসাদ সায়েম পুনম বলেন, আনসার উদ্দিনের দুই পা থেঁতলে গেছে। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামলায় তাঁর শরীর ক্ষত হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গতকাল রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাতুড়িপেটায় আহত আনসার উদ্দিন মোল্লা
হাতুড়িপেটায় আহত আনসার উদ্দিন মোল্লা

এই হামলার নিন্দা জানিয়ে আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। মূলত সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। স্থানীয় লোকজন দৌড়ে আসায় তাঁকে ফেলে রেখে সটকে পড়েছে সন্ত্রাসীরা।’

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য নজরুল ফকিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। জাতীয় সংসদ নির্বাচন–পরবর্তী একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলছে। আমি এর আগেও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব বিষয় জানিয়েছি। কোনো সমাধান পাইনি। একই দলের কর্মীদের এভাবে মারামারি-হানাহানির ঘটনা ঘটবে, এটা আমি কখনোই কামনা করি না। এ ঘটনায় আমি পুরোপুরি হতাশ।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে তাঁরা গিয়েছিলেন। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *